প্রতিমা দি
বেশ
ক'দিন ধরে কাজের খুব চাপে ছিলাম। দ্বিতীয় এবং শেষ দফায় এবারের মাধ্যমিকের ভূগোল খাতা
রয়ে গিয়েছিল পরীক্ষকদের হাতে। মূল্যায়নের কাজ সবারই শেষ। লকডাউনের আবহে সবরকম গতিময়তাই
থমকে থমথমে হয়ে যেন একেবারে থেমেই গেছে। প্রায় হঠাৎ করেই সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করার
নির্দেশ এলো অনুরোধের সুরে ওপরমহল থেকে। তিন চারদিনের মধ্যেই খাতা জমা করাতেই হবে।
একটু নড়েচড়ে বসা, সবাইকে দ্রুত খাতা জমা দিতে বলা। করোনা-বিধি মেনেই, সতর্কতার সাথে
আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া। আমার পরীক্ষকরা সত্যিই ভালো। পড়িমরি করে তাঁরা কতো কতো প্রতিকূলতা
ডিঙিয়ে ঠিক তাঁদের কর্তব্য সারলেন। হলদিয়াতে আটকে পড়া সোনালী টুডু এলো বরের সাথে বাইকে
করে, অতদূর থেকে। আসতেই হতো, এছাড়া উপায় ছিলো না। নাহ্, কারো জন্যই আমায় কোনরকম সমস্যায়
পড়তে হয়নি। মেরীদি তো বলেইছিলো-"দরকার হলে ডেকো ভূদেব, চলে আসবো, কাছেই তো থাকি,
প্রবলেম হবে না", বললেই আসতো-ও দিদি। অপর্ণাও বলেছিলো- দূর থেকে আসাটাই যে সমস্যার,
নইলে এসে এসে কাজ তুলে দেওয়া যেতো, এ-ও কম নয়। একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা স্বপ্নাদি
কে তো শেষটায় সেদিন বলেই ফেললাম- 'আজ একটু আসতে পারবে? ঘন্টা দুয়েকে জন্য, খুব উপকার
হয়'। সন্ধ্যায় হাজির। এই কাজে আমার একম্ অদ্বিতীয়ম্ ভ্রাতৃপ্রতীম দেবাশীষকে পেলেই যথেষ্ট
ছিলো, মানে কেল্লা ফতে, কিন্তু বেচারার কোমরে বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা, প্রায় বিছানায়
কদিন যাবৎ। আর যাঁরা স্ক্রুটিনির টীম মেম্বার মানে, অর্পিতা-সুচিস্মিতাদি-জুঁইদি-জয়ন্ত-তনুশ্রী
এঁদের কাউকেই ডাকি নি পরিবেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষিত বিবেচনা করে। আসলে আমার টীম দুরন্ত,
সাহায্য চাইলে পাবোই জানি, তবু এইররকম সময় বলেই কাউকে বিব্রত করতেও চাই নি। স্বভাবতই
বিপুল কাজ, একার পক্ষে সত্যিই অসুবিধার। একটু না হয় ওভারলোড, ও ঠিক সেরে ফেলবো- এভাবেই
মনের জোর নিয়েই নেমে পড়া যেন।
শনিবার
ঠিক দুপুরে কাজ শেষ, আর আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় যাবতীয় কাগজপত্র, সবটুকু কাজের নির্যাস
সবকিছু সমর্পিত হলো বোর্ডেরই দুর্গেশ ভাইয়ের কাছে। শনিবার কাজ শেষ হলে কী হবে, একটু
পরে পরেই গোছানো কাজগুলো আবার দেখা তো চলছিলোই, কিছু ভুল হচ্ছে না তো? ঠান্ডা মাথায়
বারবার ভেবে নেওয়া। কেবলই উচাটান। যতক্ষণ না জমা হচ্ছিল ততক্ষণই এটা চলছিলো। আসলে ক'দিন
ধরেই নিদারুণ মাথা খাটানো কাজে অবিরাম আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ স্রোত আর চাপানউতোর চলছিলোই,
আর মস্তিস্কের গ্রে ম্যাটারগুলোও যেন হঠাৎ বিশ্রামে খুব অসহায়তা বোধ করছিলো।
এতক্ষণে
পাঠক ভাবছেন হয়ত তিনি কি শিরোনাম ভুল দেখলেন? বলছি, বলছি।
আমার
বন্ধুদের, মানে স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে একটা বড়সড় হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপ আছে। যেখানে আমরা
সবাই নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলের এক একটি 'রত্ন'। সবার মাধ্যমিক নব্বই সাল, সবাই-ই
প্রায় শিশু শ্রেণী থেকেই ওইখানে পালিত হয়েছি, বড় হয়েছি। ইস্কুলবেলার দিনগুলো এখনো আমাদের
আলোচনায় এলেই আমরা কেমন যেন সেই ছেলেবেলা ফিরে পাই, আঁকড়ে ধরি। কতো কতো গল্প চলে, আকাজের
কথাও চলে প্রচুর। বেশীর ভাগ সময়ই অতো অতো মেসেজ পড়া হয় না আমার, স্ক্রল ডাউন করে একটু
আধটু পড়ে বুঝে নিতে হয় টপিক। কখনো লাল-হলুদ বনাম মেরুন-সবুজ, কখনো গেরুয়া-লাল-সবুজ
এর তরজা, কখনো এমন অনেক কিছু যেগুলো এখানে বলতে পারছি না। তো.... এইভাবেই কাল, একটু
বেলায় মেসেজ স্ক্রল ডাউন করতে করতে থমকে গেলাম.... বেশ খানিক্ষণের পজ্, অজান্তেই। চোখ
ঝাপসা হতেই আবার সম্বিত এলো। কতক্ষণই বা, অথচ কতো কতো কথা ও কাহিনী যেন চোখের সমনে
সিনেমাস্কোপে দেখা দিয়ে গেলো। কতোযুগ আগের কথা তো... অথচ সব প্রাঞ্জল, বেলজিয়াম কাঁচের
মতোই ট্রান্সপারেন্ট। এতো কিছুও আমাদের মনে জমা থাকে? মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুতন্ত্রের
আধার কতো, কতো বড়ো হতে পারে? এমবি, জিবি, টিবি দিয়ে এই স্টোরেজ মাপা যাবে?
কাল
যেখানে থমকে গিয়েছিলাম, যেখানে অজান্তেই ভিজেছিলো দুচোখ, যেখানে মনে পড়ে গেলো কতো কতো
কথা- বন্ধু সুমিত, ডাক্তার, গিয়েছিলো প্রতিমাদির কাছে। সেই ছবিতে ছাত্র-শিক্ষক, নাকি
আসলে মা-ছেলে অথবা বাবা-মেয়ের ছোঁয়াচ কে জানে! প্রতিমা পাঁজা, আমাদের প্রতিমাদি। আমরা
যারা তৎকালে প্রাইমারি সেকশনে ছিলাম সবার চেনা। আমাদের ভূগোল পড়াতেন, একটু উঁচু ক্লাসে,
মানে ফোর ফাইভে। আমার ভূগোল ভালো লাগতো না। প্রতিমাদি ক্লাসে আসতেন, ভূগোল পড়াতেন।
তর্জনীর ডগাকে কে কেন্দ্র করে বৃত্ত আঁকা, তাতে গোলার্ধ, সুমেরু-কুমেরু ইত্যাদি বোঝানো
চলতো। পাগল করা ভূগোল ক্লাস। একদিন হলো কী, ওইভাবে যে বৃত্তটি এঁকে তিনি পৃথিবীর কাল্পনিক
রেখাগুলো বোঝাচ্ছেন অকল্পনীয় ভাবে, গোলটা প্রয়োজনের তুলনায় তাঁর বোধহয় ছোটই লেগেছিলো,
মনে হয়। সব মুছে ফেললেন। বোর্ডের মাঝামাঝি চেয়ার সরিয়ে তাতে উঠে পড়লেন, শাড়ির আঁচল
কে কম্পাস করে একটা বিশাল বৃত্ত তৈরী হয়ে গেলো। মনে হতেই পারে এমনি কি বৃত্ত আঁকা যায়
না? আলবাৎ যায়। তবে এ ধরনের প্রয়োগরীতি খুব আকর্ষণীয় হয়েছিল, বিশেষত সেই সময়ে আমার
কাছে, আর শিশুমননে তা নিরক্ষরেখার অ-কাল্পনিক দাগ কেটে গিয়েছিলো। জীবনের টার্নিং পয়েন্টও
ছিলো প্রতিমাদির ভূগোল ক্লাস, আমি নিশ্চিত। দিদির পড়ানোতে বুঁদ হয়ে থাকতাম। অপেক্ষায়
থাকতাম প্রতিমাদির ভূগোল ক্লাসের জন্য। না-ভালোলাগা ভূগোলের প্রতি আমার যাবতীয় পরবর্তী
প্রেমের কেন্দ্রবিন্দু তে কী মায়া নিয়ে এলেন আমার প্রতিমা দিদিমনি। এই কেন্দ্রতেই আবর্তিত
হয়েছে বৃত্তচাপ, পরিধি। দিগন্তরেখাও আঁকা হয়েছে বর্ধিত ব্যাসার্ধের মাপেই, কেন্দ্রবিন্দু
এক। আমি কোনকালেই প্রথম সারির ছাত্র ছিলাম না, রোল নম্বর আট-নয় থেকে পনের-ষোলতেও যেতো,
সাধারণত। প্রতিমাদির সাহচর্যে ভূগোলে বেশ ভাল নম্বর পেতে শুরু করলাম, এমনকি সর্বোচ্চও
কয়েকবার। বেশী যেন আর পড়তেই হতো না।
মাধ্যমিকের
পরেই তো ঠিক করে নিতে হয় কী নিয়ে পড়বো, নিলাম ভূগোল প্রধান বিষয় হিসেবে। প্রিয় বন্ধুরা
বেশীর ভাগই সায়েন্সে। জীববিদ্যা খুব ভালো লাগলেও, পদার্থবিজ্ঞান আর রসায়নে আজন্ম ভীতি
আমার সায়েন্স না নেওয়ার যেটুকু কারন, তার চেয়ে ঢের ঢের বেশী ছিলো ভূগোল প্রীতি, আর
তারই দুই গোলার্ধ জুড়ে ছিলেন আমার প্রতিমাদি। এখনো.... আমি ছাত্র প্রতিমাদি আমার ঈশ্বর।
দিদি প্রতিদিন বেশ সেজেগুজে আসতেন, ঝকঝকে পরিপাটি, টুকটুকে ফর্সা, টিকালো নাক। কড়া
হাতে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও সামলাতেন। পঞ্চাশের দশকের মঞ্জু দে, মনে পড়ে? 'নীল আকাশের
নীচে' সিনেমার মঞ্জু দে? কী তাঁর ব্যক্তিত্ব, কী গলা, কী চাহনি! আমাদের প্রতিমাদি তেমনটাই
স্মার্ট ছিলেন। ঐ সিনেমা দেখে আমার প্রতিমাদিকে মনে পড়েছিল। আমরা তাঁর ব্যক্তিত্বে
ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতাম। তাঁর চলনে বলনে শ্রদ্ধায় মাথা নত হতো এমনিই। আবার কী অবলীলায়
পরম মাতৃবাৎসল্যতায় যেন আমাদের বেঁধে রাখতেন। ইনস্ক্রুটেবল্। মার-বকুনিও খেয়েছি, ভালোবাসা
পেয়েছি তার বহুগুণ।
তখন,
দ্বাদশের পরে চোখের জলে ছাড়তে হলো আমার স্কুল, ইস্কুলবেলার খেলার মাঠ, ক্লাসঘর, বারান্দা,
জলের ট্যাপ্, মাঠের কোনটায় কেয়াগাছ, রামস্বরূপ দা, ঝালমুড়ি দাদু, হজমি দা, প্রাণ প্রিয়
স্যারদের.... সব, সব। কতো কাহিনী উপন্যাস, রাগ, আনন্দ, বিরহ, উন্মাদনা.... সব, সব।
এরপর কলেজ, ইউনিভার্সিটি পার করে শিক্ষকতা। ক্লাসে পড়াবো। ভূগোল। প্রতিমাদির মতো আদর
করে, যত্ন করে। সুযোগও তাই এলো জীবনে।
কয়েক
বছরের মধ্যেই খবর পেলাম আমার স্কুলের অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন্ তৈরী হয়েছে। জানুয়ারিতে
রি-ইউনিয়ন হয়। একবার ফোনাফুনি করে বন্ধু দের সাথে যোগাযোগ হলো। অভিজিৎ, সুভেন্দু, সৌম্য,
সঞ্জয়, সুমিত, নির্মাল্য, সুবীরদের সাথে। দল বেঁধে যাবো, স্কুলের রি-ইউনিয়ন। সময় ঠিক
হলো, সারাদিন থাকবো আত্মার আত্মাপুরিয়ে স্কুলে। মর্নিং এর দিদিমণি রা আসবেন, স্যারেরা
আসবেন, দেখা হবে, আত্মহারা আমি। আমি আগেই পৌঁছে গেছি। মাঠের একটা অংশে প্যান্ডেল, স্টেজ।
(ওইখানটাতেই
আমরা খেলতাম। ওপাশে কলেজ। ওই তো ঠিক ওইখানটাতে বেকায়দায় পড়ে হাত ভেঙেছিলাম, ক্লাস নাইনে
তখন, পিসি থ্রো করেছিলো। আমি হঠাৎ করে পিছনে প্লেস নিতে গিয়েই অঘটন। সন্ধ্যায় প্লাস্টার,
পরদিন ভাঙা হাত গলায় ঝুলিয়ে স্কুলে, মানে হিরোইজম্ দেখাতে হবে তো! স্কুলে বন্ধুদের
পিঠ চাপড়ানো বাহবা, সাথে এম কে স্যারের তীব্র বকুনি। পরদিন কোচিং থেকে বুড়ুলে পিকনিক।
পিকনিকে গিয়ে ক্রিকেট। সাধে কী বাঁ হাতের কব্জিটাকে নিয়ে এখনো আমার ভোগান্তি? অনাদর
আর অবহেলার শোধ নেয় ওটা সুযোগ পেলেই, তবে বেশ লাগে আমার, ব্যথায় কতো অনুভব জড়িয়ে যে...)
দূর
থেকে দেখছি দিদিমনিরা বসে আছেন ঠিক ওইখানটাতেই। রংবেরঙের শাড়িতে তাঁরা উজ্জ্বল। আনেক্ষণ
পরে একটু কাছে যেতেই তপতীদি- 'ভূদেব, তাই তো'? পাশেই, অ্যানুয়্যাল স্পোর্টসের সময়ে
মাঠ কাঁপানো বুলবুলদি আর ভূগোল ক্লাসের সেই প্রতিমা দি। বয়স হয়েছে, তবে সবাই সেই একই
রকমের। পরীক্ষার সময়ে মায়েরা বাইরে থাকতো, ফাঁক পেলে দিদিমণিরা মায়েদের সাথে কথা বলে
আসতেন। নাহ্ পিটিএমের ঘটা করা চল তখন ছিলো না, দরকারই হতো না যে, আমরাও তো যেন ক্লাসে
মায়েদের সাথেই থাকতাম। ক্লাস সিক্স হলো, কী কষ্ট হলো মর্নিং সেকশন ছাড়তে, তখনো তো ছোটই
ছিলাম, দিদিমণি দের কষ্ট হয়তো বুঝিনি।
অনেক
অনেক পরেও দিদিমনিরা দেখা হলে নাম ধরেই ডাকতেন আমাদের। আমরা তো তাঁদের সন্তানই ছিলাম,
সন্তানতুল্য নয়। তখনও কতো যত্ন করে গাল ধরে আদর, কপালে চুমু, বলতেন- 'কতো বড়ো হয়ে গেছিস
রে'। সবাই যেন এক একজন জ্যান্ত প্রতিমা। ভালো থাকুন দিদিমনিরা, যে যেখানে যেভাবেই রয়েছেন।
আমাদের প্রণাম চরণ ছুঁয়ে, এই অ-ছোঁয়াচ সময়ে এই ছোঁয়াটুকু থাকলোই....
প্রণাম।
ভরা
থাকলো স্মৃতিসুধায়।
Comments
এইরকম একটা আধা স্কুল, আধা পাঠশালা থেকে আমি যখন নিউআলিপুর স্কুলে ভর্তি হলাম, তখন আমার অবস্থা, পুকুর থেকে বড় নদীতে পড়ার মতো। এত বড় স্কুল, সাদা জামা, সাদা প্যান্টের uniform, কলকাতার ছেলেপিলেদের কলকাট্টাইয়া কথাবার্তা, চাল চলন , সব মিলিয়ে এক ভয় বিহ্বল দশা। না কারুর সাথে ভালো করে মিশতে পারি, না কেউ আমাকে কাছের করে নেয়।
ওই সময়ের কয়েক জন শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকাও আমার সাথে বিমাতৃ সুলভ আচরণ করেছিলেন যা আমার শিশুমনকে ক্ষত বিক্ষত করে তুলেছিল।
এই সময় আমার ওপর নজর পরে স্বর্গতঃ প্রতিমাদির । ওনার সেই সময়ের আমার প্রতি ভালোবাসা আমার প্রতি অতীব মধুর ব্যবহার আমি আজও ভুলতে পারি নি। ওনার সেইদিনের আমাকে আড়াল করে না রাখাটা থাকলে আজ আমার হয়তো নামসার সদস্য হওয়া হয়ে উঠতো না। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ শিক্ষাদাত্রী প্রতিমাদি। ওনাকে শেষ প্রণামটা করতে পারলাম না এই আফসোস সারাজীবন থেকে যাবে। পরজন্মে যেন আবার প্রতিমাদি আমাদের শিক্ষিকা হয়েই ফিরে আসেন এই কামনা রইলো। দিদি আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকবেন।
- শান্তনু চক্রবর্তী
অত্যন্ত দুঃখের কথা দিদি যেদিন চলে গেলেন সঞ্জয় দা অনেক বার আমাকে ফোন করেছিলেন।। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফোন বিকল ছিলো।। তাই মহীরুহ পতনের খবর যথা সময়ে পাই নি।। এই যন্ত্রনা চিরদিন থাকবে।। তবে একটাই সান্ত্বনা কিছুদিন আগেই আমি আর সুমিত দা সঞ্জয় দা র সাথে গিয়ে দিদি র সাথে দেখা করে এসেছিলাম।। জানতাম না সেটাই শেষ দেখা।।
যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন দিদি।।
ইতি, আপনার দুষ্টু।।